০৪ এপ্রিল, ২০১১

নান্দনিকতায় ফোটা ফুল হুমায়ুন আজাদ


            আনমনা আনোয়ার

নারী -কাফনে মোড়া অশ্রুবিন্দু,জ্বালো চিতাবাঘ
পেরোনোর কিছু নেই
যতোই গভীরে যাই মধু যতোই ওপরে যাই নীল
এমন তীক্ষ্ণ -তীব্র মাতাল অনুভব নিয়ে
নদী মাতৃক বিক্রমপুরের রত্নশোভিতা রাড়িখালে
উদ্ধত স্পর্ধা,ঘ্রাণ শক্তিতে জেগে ওঠা
কে তুমি সৃষ্টিশীল সংহারী কিংবা অন্ধকারে গন্ধরাজ ;
ফুলের গন্ধে ঘুম আসেনা - তাই
জলপাই রঙের অন্ধকারে বুকপকেটে জোনাকিপোকা জ্বেলে
ফালি ফালি ক'রে কাটা চাঁদ হাতে নিয়ে কতো নদী সরোবরে
অলৌকিক ইষ্টিমার কিংবা মাতাল তরণীতে মহাবিশ্ব ঘুরে
নিবির নীলিমা,প্রতিক্রিয়াশীলতার দীর্ঘ ছায়ার নিচে
আততায়ীদের সঙ্গে কথোপকথন সেরে মগ্ন চৈতন্যে
ঢালো শুভ্রব্রত,তার সম্পর্কিত সুসমাচার।
তদন্তর সব বিনীতের এই দেশে বহুহৃষ্ট মূর্তী ভেঙ্গে
আমার অবিশ্বাস,মানুষ হিসাবে আমার অপরাধ সমূহ বয়ানের পর
রাজনীতিবিদগণ,আমরা কি এই বাঙলাদেশ চেয়েছিলাম সর্বজনীন জিজ্ঞাসায়
বেদনার হুতাশনে পোরা বিভৎস সৌন্দর্য বুনে
ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল এর
সবকিছু ভেঙ্গে পরে থাকা অবয়ব থেকে
একটি খুনের স্বপ্ন'র ভিতর দিয়ে তুলে আনো
নিজের সঙ্গে নিজের জীবনের মধু !!
কে তুমি ক্লান্তিহীন শব্দ চাষা ?
তুমি -প্রাবন্ধিক...
           তুমি -কথাশিল্পী...
তুমি -ভাষাবিদ...
           তুমি -কবি....
না -না এইসব বিশেষণের কোনটাই তোমার জন্য পূর্ণাঙ্গ নয়
তাই,তুমি বহুমাত্রিক জ্যোতির্ময় ;
তুমি -প্রতিক্রিয়াশীলতার নিরর্থক নির্দেশ,প্রচলিত ভ্রান্তপ্রথা ভাঙ্গার শপথে উন্মাদ
তুমি -অপূর্ব নান্দনিকতায় ফোটা ফুল হুমায়ুন আজাদ।
তুমি -বাঙলার সক্রেটিস,জন্মেছো ভুল সময়ে
তোমার ভাষায় 'আমি বেঁচে ছিলাম অন্যদের সময়ে'
দৃঢ় বিশ্বাস তুমি স্বকিয়তায় থাকবে সতেজ আলোকিত বলয়ে।